এটি কোনো সিনেমা বা নাটকের ঘটনা নয়। এমনই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। করোনার প্রথম দিকে ফিল্ড হাসপাতাল চালু করে উদাহরণ তৈরি করেন তিনি। করোনার প্রকোপ কমে আসলে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই হাসপাতালটি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে হোম হসপিটালের আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। এই হোম হসপিটাল যাত্রা শুরু করেছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। এরই মধ্যে বেশ সাড়াও মিলছে বলে জানান উদ্যোক্তা।ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিজয়ের মাসে আমাদের হোম হসপিটালের কার্যক্রম শুরু করেছি, যা এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। এপর্যন্ত আমরা ২৩ জনকে সেবা দিয়েছি। তিনজন চিকিৎসক নিয়ে আমাদের এই সেবা চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।তিনি বলেন, অনেকে রাতের বেলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায় না। তাই আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমাদের হেল্প লাইনে ফোন করলেই চিকিৎসক টিম পৌঁছে যাবে রোগীর কাছে। ‘উবার কিংবা ফুড পাণ্ডার মতো প্রতিষ্ঠান যদি বাসায় সেবা পৌঁছে দিতে পারে, তাহলে চিকিৎসা সেবা কেন নয়। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে-আমরা মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবো। সে লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরি করার চেষ্টা করছি। তবে আপাতত ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে’ বলেন ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
ফোন এলেই রোগীর কাছে হাজির চিকিৎসক
0স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |
মা অসুস্থ বোধ করছেন কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার মতো কেউ নেই। মেয়ে ঢাকা থেকে ‘হোম হসপিটাল’ এর হেল্প সেন্টারে ফোন করলেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেন চিকিৎসকের। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর বাসায় হাজির হলেন চিকিৎসক টিম।
Share.