বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বীকৃতির জন্য তিনি এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

অভিযুক্ত আশরাফুল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত আছেন। তিনি মিরসরাই উপজেলার কাজীবাড়ির মাহবুবুল করিম চৌধুরীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর বাড়িও মিরসরাই উপজেলায়। তিনি আশরাফুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, দুইবছর আগে তার সাথে আশরাফুল করিম চৌধুরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছর মে মাসে সীতাকুণ্ড উপজেলার কালু শাহ মাজার এলাকার একটি বাসায় তাকে ধর্ষণ করেন আশরাফুল। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও আশরাফুল বিয়ে করতে রাজী হচ্ছিলেন না।

গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ‘শুকতারা’ নামের একটি রিসোর্টে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে যান আশরাফুল। এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে আশরাফুল এবং তার সহযোগি মোজাহিদুল ও রোমেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বিয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে আশরাফুলের বাবা মাহবুবুল করিম চৌধুরীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তিনি। তখন ভুক্তভোগীকে এক লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি দফারফার জন্য চাপ দেন মাহবুবুল।

তবে লাখ টাকায় দফারফার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে চাপ দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আশরাফুলের বাবা মাহবুবুল করিম চৌধুরী  বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি।’

এদিকে কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত আশরাফুল সরকারদলীয় লোক পরিচয় দিয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে হেনস্থা করছেন। আশরাফুল সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভাতিজা হন। তার সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করতে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযোগ দিলে আমি অভিযুক্ত আশরাফুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগের বিষয়ে আশরাফুল করিম চৌধুরী একুশে পত্রিকাকে বলেন, তার (ভুক্তভোগী তরুণী) সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে অন্তঃসত্ত্বা না। সমস্যাটি পারিবারিকভাবে প্রায় সমাধান করে ফেলেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে অফিসের একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সহকারী রেজিস্ট্রার জুয়েল স্যার, আমাকে হয়রানি করছেন, চাকরি করতে দেবেন না এরকম একটা অবস্থা করছেন।

হয়রানি করার কারণ জানিয়ে আশরাফুল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা তো প্রশাসনিক দপ্তরে আছি। ভিসি স্যারের নির্দেশ এখানে কোনো দুর্নীতি যাতে না ঢুকে। কিন্তু তিনি কেনাকাটার মধ্যে নয়-ছয় করতে চান।

এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখানোয় আজ বুধবার দুপুরে ইব্রাহিম খলিল নামের এক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলেও জানান আশরাফুল করিম চৌধুরী।

Share.

Leave A Reply