বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় রাঙ্গুনিয়ার ড. নুরুল আজিম সিকদার

0

রfঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ জন শিক্ষক বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান ড. নুরুল আজিম সিকদার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় ও মহাসাগর গবেষণা গ্রুপ এর সদস্য হিসেবে মৎস্য গবেষণা খাতে অনন্য অবদান রাখছেন তিনি। অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২১ এর প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের একটি তালিকায় বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯৪ জন গবেষকের নাম রয়েছে। এর মধ্যে চবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক রয়েছে ৫৬। গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ, প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের এইচ-ইনডেক্স, আই-১০ ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি প্রকাশ করে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। ড. নুরুল আজিম সিকদার গত বছর চীনের ওশান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স এর সহযোগী অধ্যাপক তিনি। নুরুল আজিম সিকদার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সৈয়দবাড়ি গ্রামের মরহুম মো. নজির আহমদ সিকদার ও জোহুরা বেগমের ছেলে। ১৯৯২ সালে রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে (গড়ে ৮২ মার্কস) এসএসসি পাশ করেন মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। এরপর ১৯৯৪ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে এইচএসসি (গড়ে ৭২ এর বেশি মার্কস) পাশ করেন। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেরিন সায়েন্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। এরপর প্রথম শ্রেণীতে পঞ্চম হয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে মেরিন সাইন্সে এমফিল শেষ করেন তিনি। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেল তাঁকে গবেষক হিসেবেও নিযুক্ত করে। ২০১৬ সালে ভারতের বিজ্ঞান ও গবেষণা ফেলোশিপ পান তিনি।এর মধ্যে ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর মোট ৩৭টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৬ সালে থাইলান্ডের ওয়ালাইক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শিক্ষকতা জীবনে দেশে ও বিদেশে অনেক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এ শিক্ষাবিদ। ২০১৭ সালে চীন সরকারের মেরিন স্কলারশিপ পান তিনি।

Share.

Leave A Reply