কালুরঘাটে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

0
নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন চসিকের এক দশমিক ৭১ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’। প্রায় ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে ৬ তলা বিশিষ্ট হাইটেক পার্কাটর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রিকাল বোতাম টিমে এ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসময় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, আইসিটি (তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি) খাতে দক্ষ জনশক্তি ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’। এটি নির্মাণের পর সেন্টারটিতে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করা, একাডেমিয়া বা আইটি ইন্ড্রাস্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধন এবং আইটি/আইটিইএস সম্পর্কিত খাতে দেশের যুব সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সেন্টারটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নির্মিতব্য এ সেন্টারের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে বলে ধারণা করছেন কর্তৃপক্ষ। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক।
৫২২ কোটি ৫৪ লাখ ৯২ হাজার টাকায় অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় ৮টি জেলার মধ্যে চট্টগ্রামেও একটি সেন্টার নির্মাণ করা করা হচ্ছে।
এদিকে চসিক সূত্র বলছে, বিএফআইডিসি রোডে সিটি কর্পোরেশনের ১১ দশমিক ৫৫১ জায়গা রয়েছে। পুরো জায়গায় ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে।
এ লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ সিটি কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চুক্তির আওতাভুক্ত জায়গার মধ্যেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আগস্ট মাসে এ সেন্টার নির্মাণে সিটি কর্পোরেশন থেকে এক দশমিক ৭১ একর জায়গা বুঝে নেয় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। চুক্তির খসড়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইটেক পার্ক নির্মাণে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে নির্মাণ কাজ। লভ্যাংশ চসিক ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ শতাংশ করে পাবে।
Share.

Leave A Reply