নুরুচ্ছফা তালুকদারের মতো বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল

0
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার বিশাল অবদান ছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ পুনঃগঠনে তার ব্যাপক অবদান এই অঞ্চলের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আইন পেশার পাশাপাশি তার সন্তানদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির জন্য সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন, আন্দোলন করেছেন। অত্যন্ত নির্মমভাবে তাঁকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খাকে স্তব্দ করা হয়েছে। তারপরও এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের মতো অসংখ্য বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। শত অত্যাচার নির্যাতন দুঃশাসন আর বঞ্চনার পরও তারা সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে তথ্যমন্ত্রীর ড. হাছান মাহমুদের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার নামে প্রতিষ্ঠিত পৌর অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর মো. সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সুখবিলাস ফিসারিজ এন্ড প্ল্যান্টেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার বাবুল, প্রবীন আ.লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, প্রকৌশলী তফাজ্জল আহমদ প্রমূখ।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন উন্নত বাংলাদশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, একইভাবে সুশাসনের কথা ভেবেছেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। দেশের ৭০ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের মানুষের মাঝে যাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি সেই মানসিকতা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিষ্টিত হতে হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যে উৎসাহ উদ্দিপনা তা জনকল্যাণের কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে।
তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে বাঙালিকে আবার সংগঠিত করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সারা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ, ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। জিয়া এরশাদের দুঃশাসন, লাঞ্চনা গঞ্জনা মোকাবেলা করে সেদিন শেখ হাসিনা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এবং সকল মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সেই দীর্ঘ সময় লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে মানুষের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে দীর্ঘদিনের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার। খাদ্যের সংকটের মাঝেও শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অভুক্ত মানুষের আর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
Share.

Leave A Reply