টেকনাফের স্কুলছাত্রের ক্ষুদে বার্তা: প্রধানমন্ত্রীর সাড়া

0

কক্সবাজার প্রতিনিধি।  স্কুলছাত্রের ক্ষুদে বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সাড়া ও বদান্যতায় বাড়ি পেল টেকনাফের স্কুল ছাত্র মামুনের পরিবার। টেকনাফের অজপাড়ার এক কিশোরের পাঠানো খুদে বার্তার প্রতি (এসএমএস) গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই গুরুত্বের কারণে পাল্টে গেল কিশোর মামুনদের পরিবারের চিত্র।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী গ্রামের রিকশাচালক ও মামুনের বাবা রমজান আলী (৪৫) এখন বিশ শতক জমির মালিক। সেই জমিতে করা হয়েছে পাকা বাড়িও। আলোচিত মামুন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। তারা পাঁচ ভাই-বোন। তাদের নিজেদের কোনো জমি কিংবা ঘর নেই। বন বিভাগের জমিতে বাস। মামুন একটি দোকানে কাজ করতো। মহামারীর কারণে সেই কাজও হারাতে হয় তাকে। এরপর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানায় সে।

কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাকে ঘটনাটি জানানো হয়। কিশোর মামুন (১৭) প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। মামুন প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিল, ‘আমাদের কোনো জমিও নেই, ঘরও নেই। আপনার সহযোগিতা চাই। স্কুল বন্ধ থাকায় একটি দোকানে কাজ করতাম। মহামারীর কারণে সেই কাজও হারাতে হয়েছে’।

ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে বলা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলেন। ইউএনও মামুন নামের ওই কিশোরকে খুঁজে বের করেন।

ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে রিকশাচালক রমজান আলীকে কেরুনতলী এলাকায় ২০ শতক খাস জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। তার নামে জমির দলিল এবং খতিয়ানও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবিসহ দলিল হস্তান্তর করেন।

Share.

Leave A Reply