২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে দায় কার, তা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ২ অক্টোবর সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।
তবে এই তদন্তে কোনো সুপারিশ করা হয়নি উল্লেখ করে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দায় নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সেটিই তাঁরা করেছেন।
এর মধ্যে গত ৩০ জুন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদের মাজারগেট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (১৯)।
একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএ—কেউ এর দায় নিচ্ছে না। এসব মৃত্যুর জন্য উল্টো পরস্পরকে দায়ী করে আসছে দুটি সংস্থা। কিন্তু সংস্থা দুটির ভূমিকায় চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।