বিষাক্ত বাতাসের শীর্ষ পাঁচ শহরের তালিকায় ঢাকা পঞ্চমে

0
সারা বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত বাতাসের শীর্ষ পাঁচ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে। শহরগুলোর ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের বায়ু মানের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন। বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থা দু’টি। প্রতিবেদনের শিরোনাম দেয়া হয় ‘শহরগুলোতে বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্য’।
নতুন এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ৭ হাজারের বেশি শহরের বায়ু দূষণ এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম কিছু শহর এবং নগরাঞ্চলে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বে শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ১১০ মাইক্রোগ্রাম। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা। এই শহরে বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
এছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা নাইজেরিয়ার কানো শহরের ক্ষেত্রে তা ৮৩.৬ মাইক্রোগ্রাম। চতুর্থ স্থানে থাকা পেরুর রাজধানী লিমার বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭৩.২।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা ঢাকার বায়ুতে প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম-২.৫) বা বস্তুকণা ২.৫ এর বার্ষিক গড় ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম এবং এনও২ এর বার্ষিক গড় প্রতি ঘনমিটারে ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম।
বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য দায়ী। এটি প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে।
বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।
মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি দহন, বায়োমাস পোড়ানো, চলাচলের অনুপযোগী যানবাহন থেকে নির্গমন, ইটভাটা এবং ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের ফলে বাংলাদেশের শহরগুলোর দূষিত বায়ুর মান প্রায়ই বৈশ্বিক গণমাধ্যমের শিরোনামে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রত্যেক বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিম্ন এবং মধ্যম-আয়ের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর বায়ুতে বস্তুকণা ২.৫ এর উপস্থিতি বেশি। অন্যদিকে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি নিম্ন এবং মধ্যম-আয়ের দেশের শহরেও এনও২’র উপস্থিতিও বেশি রয়েছে।
Share.

Leave A Reply