নারীদের জন্য সিএমপির নতুন প্রকল্প ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’

0

বন্দর নগরীর জনসাধারণের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীতে চলাচল করা সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে বিশেষ কিউ আর কোডের আওতায় আনা হবে। এতে করে যাত্রী হয়রানি এবং ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

সিএমপি কমিশনার বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা সব ধরনের যাত্রীদের জন্য বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে দিন-রাত সব সময় একটি নিরাপদ বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে এ প্রয়াস। এ উদ্যোগের আওতায় নগর এলাকায় চলাচলরত বৈধ কাগজ সম্বলিত সব সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক এবং ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হবে। মালিক এবং ড্রাইভারদের সকল তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা কিউ আর কোড এবং নিউম্যারিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। পরে যাত্রীরা এ আইডি অথবা কিউ আর কোডটি স্ক্যান করে ড্রাইভার এবং মালিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।

যেভাবে ব্যবহার করা যাবে

কোনো যাত্রী গাড়িতে যাত্রার আগে যদি গাড়িতে প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখে, তাহলে বুঝতে পারবে গাড়িটি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড। অ্যাডভান্স লেভেলের ভেরিফাই করার জন্য যাত্রীর স্মার্ট ফোনে ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে। প্রিন্টেড কপিতে থাকা কিইউআর কোডটি যাত্রী ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপে স্ক্যান করার সাথে সাথে ড্রাইভার অথবা মালিক যদি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড হয় তাহলে তিনি তার স্মার্টফোনে মালিক ও ড্রাইভারের ছবি সম্বলিত তথ্য দেখতে পাবেন। যাদের স্মার্টফোন থাকবে না তারা চাইলেই তাদের ফিচার ফোন থেকে প্রিন্টেড কপিতে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে প্রেরণ করলে ফিরতি বার্তায় ড্রাইভার এবং মালিক ভেরিফাইড কিনা তা জানানো হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় অটোরিকশাগুলোকে নিবন্ধন করতে হলে গাড়ির মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, গাড়ির রুট পারমিট, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, চালকের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে।

প্রাথমিকভাবে নগরীর আটটি স্থানে বুথ স্থাপন করা হবে। বুথে সিএনজি মালিক এবং ড্রাইভারদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। নিবন্ধনের আগে তাদের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে।

বুথগুলো হলো- টাইগারপাস ট্রাফিক পুলিশ বক্স, নিউ মার্কেট, বহাদ্দারহাট, জিইসি মোড়, বাদমতলী, অলংকার, মইজ্জারটেক ও সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্স।

প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধনের তথ্য সিএমপি সার্ভারে জমা হওয়ার পর সার্ভার থেকে অটোমেটিক মালিক এবং ড্রাইভারের জন্য আলাদা আলাদা একটি ইউনিক কিউ আর কোড এবং নিউম্যারিক আইডি প্রস্তুত হবে।

আইডি ও কিউ আর কোড সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি প্রতিটি গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে দেওয়া হবে। প্রিন্ট কপিটি গাড়িতে সবসময় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবে যাতে যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীনুর রহমান,  উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) মো. আমির জাফরসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

Share.

Leave A Reply