মধ্যরাতে বের হলেন ইউএনও,সড়কে শীতার্থদের দিলেন কম্বল

0

আব্বাস হোসাইন আফতাব  ::                               ষাটোর্ধ রহিমা বেগমের ছেলের মাথা ব্যাথা। দিনমজুর ছেলের অসহ্য মাথা ব্যাথা দেখে মধ্যরাতে ওষুধ কিনতে বের হয়েছেন তিনি। এই সময় গাড়িতে করে কম্বল নিয়ে বের হলেন ইউএনও। ওই নারীর পরিবারের অস্বচ্ছলতা বুঝতে পেরে হাতে কম্বল ধরিয়ে দেন রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ইফতেখার ইউনুস। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ছিন্নমূল অসহায় মানুষ, নৈশ প্রহরী ও রাতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে কম্বল তুলে দেন তিনি। হঠাৎ কম্বল পেয়ে খুশি উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের কুলাল পাড়া গ্রামের রহিমা বেগম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ ছেলে সারাদিন দিনমজুরী কাজ করে। রাতে মাথা ব্যাথা শুরু হয় তার। ঘরে পুরুষ কেউ নেই। ছেলের যন্ত্রনা দেখে ওষুধ নিতে ঘর থেকে বের হই। লাল গাড়ী থেকে এক ব্যক্তি ডাক দিলে ভয় পায়।
গাড়ি থেকে নেমে মানুষটি আমার হাতে কম্বল তুলে দেন। এমনিতে ঘরে কম্বল নেই। কোনো সময় কেউ যেচে এমন করে কম্বল দেয়নি। এই শীতে কম্বলটা কাজে লাগবে।”
মরিয়মনগর ইউনিয়ন ছাড়াও চৌমুহনী, চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, দোভাষী বাজার,
রোয়াজারহাট, ইছাখালি ও গোডাউন এলাকায় সড়কে থাকা রিক্সা চালক, ছিন্নমূল অসহায় মানুষ, নৈশ প্রহরী ও রাতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে কম্বল তুলে দেন ইউএনও। কম্বল বিতরণের সময় সহযোগিতা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাজীব চৌধুরী ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন,“ শীতের শুরুতে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৮ হাজারের মতো সরকারি কম্বল দেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এসব কম্বল দুস্থ শীতার্থ মানুষ পাচ্ছেন। বরাদ্দ এলে আরো দেয়া হবে কম্বল। রাতে কম্বল দেয়ার উদ্দেশ্যে হলো প্রকৃত শীতার্থ কিছু মানুষকে দেখে শুনে তাঁদের হাতে কম্বল দেয়া যাবে। প্রচন্ড শীতে দুস্থ শীতার্থ মানুষ যারা শীতের কাপড় কিনতে পারেনা তাঁদের শীতের কষ্টটা কিছুটা লাঘব হবে। কম্বল থাকা সাপেক্ষে বিভিন্ন এলাকায় রাতে কম্বল বিতরণ করব। ”

Share.

Leave A Reply