তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্মম বর্বরতার শিকার ও তাদের স্বজনদের কান্না ও আর্তনাদ শোনার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘সেটি সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে এবং অবশ্যই এ অপরাধের বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’ তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২০১৩-১৪-১৫ সালে পেট্রোলবোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সংগঠন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ এবং ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে বিনা বিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
জিয়া-খালেদা জিয়ার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন : মানবাধিকার সংস্থাদেরকে তথ্যমন্ত্রী
0তথ্যমন্ত্রী বলেন, “জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।” ‘নামের মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে ‘আমি নই, আমি নই, এটা আমি নই’ বলে আর্তনাদ করেছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।”
Share.