চাঁদপুর প্রতিনিধি : নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবিতে যারা আজকে আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন তা একেবারেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭-১৮ সালে অনেক গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্তের ফল আজকের এই শিক্ষাক্রম। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। কাজেই একটা দীর্ঘ সময় নিয়ে অসংখ্য বিশেষজ্ঞের কাজের মধ্য দিয়ে আমরা এই জায়গাতে এসেছি। এই শিক্ষাক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছেন। কাজেই এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ নোট গাইড যারা একেবারে স্কুল পর্যায়ে গিয়ে কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে সেগুলোর সঙ্গে জড়িত। দুঃখজনক হলেও সত্যি এতে কোনও কোনও শিক্ষকও জড়িত। যারা কোচিং করেন, নোট গাইডের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন তারা জড়িত। কিন্তু তারা যে দাবিগুলো করছেন সেগুলো কিন্তু একেবারেই যৌক্তিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (আন্দোলনকারীরা) সংস্কার চান কিংবা বাতিল চান কিংবা অন্ততপক্ষে ৫০-৬০ নম্বরের একটা পরীক্ষা চান। তার মানে যদি আমরা বলি ঠিক আছে আমরা ৫০-৬০ নম্বরের একটা পরীক্ষা দেবো তাহলে আর বাতিলও দরকার নেই, সংস্কারও দরকার নেই। এই ৫০-৬০ নম্বরের পরীক্ষাটা কেন? কারণ, এই পরীক্ষার প্রস্তুতির নামে বাচ্চাদের কোচিংয়ে যেতে হবে। কাজেই তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোচিং ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখা।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষায় এত বড় একটি রূপান্তরের ক্ষেত্রে এক বছর বেশি সময় নয়। এতে অভিভাবকরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলো এখনও পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে। কারণ, ক্রমাগত আমরা এর পরিমার্জন পরিচালন করছি কিন্তু সিস্টেম পরিবর্তন হবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।