চট্টগ্রামে ৩২ ইউনিয়নে জয়ী আ. লীগ, স্বতন্ত্র ৫

0
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | চট্টগ্রামের ৩ উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৩টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও ৫টিতে স্বতন্ত্র  প্রার্থী জয় পেয়েছে।
এছাড়া ১৯টি ইউনিয়নে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বাকি ২টি ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে তিন উপজেলার দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসাররা ফলাফল ঘোষণা করেন।সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। বাকি ৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবগুলোতে জয় পেয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এর মধ্যে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে ৯ হাজার ৭৭২টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাদাকাত উল্লাহ। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ৬ হাজার ২২৬টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শওকত আলী। বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে ১২ হাজার ৫৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রেহান উদ্দিন। ছলিমপুর ইউনিয়নে ১২ হাজার ৫২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাউদ্দিন আজিজ।
অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী, মুরাদপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিম বাহার, কুমিরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মনির আহমেদ এবং ভাটিয়ারি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন।

এদিকে মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। বাকি ৩টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। এদের মধ্যে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শামছুল আলম দিদার ৭ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া খৈয়াছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন এবং ইছাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল মোস্তফা ৯ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

এই উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীরা হলেন- জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে মো. রেজাউল করিম, করেরহাট ইউনিয়নে এনায়েত হোসেন, হিঙ্গুলী ইউনিয়নে মোহাম্মদ সোনা মিয়া, দুর্গাপুর ইউনিয়নের এস এম আবু সুফিয়ান, কাটাছড়া ইউনিয়নে রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ূন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ফজলুল কবির, সাহেরখালী ইউনিয়নে মো. কামরুল হায়দার চৌধুরী, ওসমানপুর ইউনিয়নে মো. মফিজুল হক, ধুম ইউনিয়নে আবুল খায়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, হাইতকান্দি ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মায়ানী ইউনিয়নে কবির আহম্মদ নিজামী, মিঠানালা ইউনিয়নে এম এ কাশেম, মঘাদিয়া ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হোসাইন।

অন্যদিকে, ফটিকছড়ি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ২টিতে আদালতে স্থগিতাদেশের কারণে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বাকি ১২টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগে মনোনীত ৭ জন এবং স্বতন্ত্র ৫ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

এদের মধ্যে  বাগানবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন সাজু, নারায়ণহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মাহামুদ, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পাইন্দং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছরওয়ার হোসেন স্বপন, কাঞ্চননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সুন্দরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, রোসাংগিরী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোয়েব আল সালেহীন, সমিতিরহাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ ইমন, ধর্মপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হক, জাফতনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওহিদুল আলম জয়ী হয়েছেন।

 

Share.

Leave A Reply